পোলট্রি খামার

অতিমারি করোনার যে চোট পোলট্রি খাতে লেগেছিল, তা সারাতে পারেননি উদ্যোক্তারা। এরপর একের পর এক বেড়েছে পোলট্রি উপকরণের দাম। খুঁড়িয়ে চলা খাতটির এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেটে পোলট্রি

পহেলা মে থেকে সারাদেশে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা প্রত্যাহার করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনের ১৩তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো। বিশ্বের ১৭টি দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও পণ্যের পসরা নিয়ে এতে হাজির হবেন।

পোলট্রি খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ফিড, এক দিন বয়সী বাচ্চা, ওষুধ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একচেটিয়া আধিপত্য তৈরি করছে; যা প্রান্তিক খামারিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় হাজার হাজার মুরগির খামার পানিতে তলিয়ে গেছে।

গাজীপুরের কাপাসিয়ার যুবক আবদুল ওহাব বছর দুয়েক আগে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে পোলট্রি ব্যবসা শুরু করেন। তিনি খামারে এক দিনের বাচ্চা উৎপাদন ও বিক্রি করেন।

প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি। ডিম ও মাংসের উৎপাদনও কমেছে ১৫ থেকে ৩৫ ভাগ। ঘরের চালে ঝরনা ও বাড়তি ফ্যানের ব্যবস্থা করেও মুরগি সুস্থ রাখতে পারছেন না খামারিরা। এতে খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

চলমান তাপপ্রবাহে গত ১০ দিনে গরমে পোলট্রি খাতে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটি বলছে, এ কারণে পোলট্রিশিল্পে বড় রকমের সংকট দেখা দিতে পারে। বাড়তে পারে ডিম ও মুরগির দাম। তাই সংকট উত্তরণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খামারিরা। শুক্রবার প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

ফরিদপুরের সালথায় পোলট্রি মুরগির ফার্ম দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।