ফুটপাত

রাজধানীর পল্লবীতে মেট্রো স্টেশনের নিচের ফুটপাতে আল-আমিন রানা নামে এক যুবক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। অস্ত্রের মুখে তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘটিতে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সিলেটের প্রতিটি ফুটপাতে অবস্থান নিয়েছেন হকাররা। ফুটপাত ছাপিয়ে তাদের দখলদারিত্ব এবার চলে গেছে মূল সড়কেও। বৈষম্যবিরোধী হকার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এবার নিজেরাই ‘সিস্টেম ম্যানেজ’

রাজধানীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। বিপণিবিতান ছাড়াও ফুটপাতের দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে যে যার মতো পরিবারসহ শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফুটপাতে বসা বিভিন্ন স্থানের হকার মার্কেটে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। তবে আরও ভালো করতে হবে। সড়কের ওপর অবৈধ সব দোকানপাট সরানো হবে। ফুটপাতে কোনো দোকান থাকবে না। 

‘ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পুলিশকে মনিটরিং করতে হবে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বহুবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে উচ্ছেদের দিনকয়েক পর আবারও অবৈধ দখলদাররা বসে যায়। আবার উৎখাত করা হয়।

রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্প সড়কের পূর্বপাশ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল পর্যন্ত আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ চলছে। এ নির্মাণ কাজের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কের পূর্ব থেকে পশ্চিম পাশের বিমানবন্দর মহাসড়ক পর্যন্ত এক পাশের ফুটপাতসহ টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে রাস্তা। 

ফুটপাত থেকে দোকান উচ্ছেদে হঠাৎ অভিযান শুরু হলেই বুঝতে পারি– এলাকায় কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বদলি হয়ে এসেছেন, অথবা কোনো রাজনৈতিক নেতা পদ-পদবি পেয়েছেন। তাই হকারদের সঙ্গে দেনদরবার করতে ফুটপাত উচ্ছেদের আয়োজন চলছে। 

রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের পাশের ফুটপাতে নিত্যদিন বাহারি পোশাকের পসরা সাজান হকার রইস উদ্দিন। এ জন্য প্রতিদিন গুনতে হয় ১৫০ টাকা। তবে রমজান আসতেই সেই চাঁদা লাফিয়ে ২৫০ টাকায় ঠেকেছে। চাঁদার লাইনম্যান চড়া গলায় বলে গেছেন, ‘ঈদ ঘিরে ব্যবসা হবে বাড়তি, তাই চাঁদাও দিতে হবে বেশি।’

ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ও নিউমার্কেটের সংযোগ স্থাপনকারী কুমার নদের ওপর বেইলি সেতু ঘিরে আবারও চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। সেতুর দুই পাশের ফুটপাতে হকার বসিয়ে প্রতিদিন জনপ্রতি ৭০ থেকে একশ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলছে অন্তত ৪টি গ্রুপ। হকারদের কারণে এরই মধ্যে সংকুচিত হয়ে পড়েছে সেতুতে চলাচলের রাস্তা। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।