ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতির জনকের ছবি ভাংচুর

গোপালগঞ্জে জাতির জনকের ছবি ভাংচুর

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ২২:২৫ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩:৪৪

গোপালগঞ্জ এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা ওই অফিসের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে কর্মচারী ইউনিয়ন ও কর্মকর্তারা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। 

এ ঘটনায় এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির অ্যাডমিন ম্যানেজার শাহাবুদ্দিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কোম্পানির এমডি অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুল। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির গোপালগঞ্জ প্ল্যান্টের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এ প্ল্যান্টে কর্মচারী ইউনিয়নের কোনো কমিটি নেই। কাজী ইউসুফ নিজেকে স্বঘোষিত সভাপতি ও আজিজ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক দাবি করে প্ল্যান্টের মূল ভবনের সেন্ট্রাল ওয়্যার রুম দখল করে কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। এ প্ল্যান্টটিতে প্রকল্পের কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি। প্রকল্পের কাজ কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করাও হয়নি। তাই এখানে সিবিএ বা ইউনিয়নের কার্যক্রমের কোনো বৈধতা নেই। এমনকি দুদকও প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে মূল ভবন থেকে সিবিএ অফিস সরিয়ে নিতে বলেছে। তাদের প্ল্যান্টের মূল ভবনের রুম ছেড়ে দিতে দুই মাস আগেই জানানো হয়। কিন্তু দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও তারা রুম ছাড়েনি। তাই কোম্পানির এমডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই রুমে প্ল্যান্টের মেশিনসহ মালামাল ঢোকানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের লোকজন বিকেলে ওই রুমের পেছনের দিনের গ্লাস না থাকা জানালা দিয়ে কোনো কিছুর সাহায্যে দেয়ালে টাঙানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ফ্লোরে ফেলে ভাংচুর করে। এ ঘটনায় তারা উল্টো কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করে  অররুদ্ধ করে রাখে। এ সময় কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান ও দপ্তর সম্পাদক আগস্টিন উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ এসে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন।   

প্ল্যান্টের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা কাজী ইউসুফ বলেন, তারা আমাদের ফাঁসাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙেছে। ঘটনার সময় ওই রুমের সামনে পাহারাদার ছিলেন। রুমে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে আমরা গেট বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

কোম্পানির এমডি অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুল বলেন, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় সিবিএ নেতারা আমার কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছেন।   


আরও পড়ুন

×