বগুড়ায় ডাকঘরের প্রহরীকে হত্যা করে ডাকাতির চেষ্টা

বগুড়া জেলার প্রধান ডাকঘরে ডাকাতি ও প্রশান্ত আচার্য্য নামে এক অফিস সহায়ককে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রশান্তের ভাই গোবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

এর আগে রাতের কোনো এক সময় প্রশান্তকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রশান্ত ওই ডাকঘরে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করলেও ঈদ উপলক্ষে সেখানে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রশান্ত আচার্য্য বগুড়া শাহজাহানপুরের বেজোড়া ঘাট এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ।

প্রশান্তের ভাই গোবিন্দ আচার্য্য জানান, ঈদের কারণে ভাই ডাকঘরে রাতের ডিউটিতে ছিল। আমিও এখানে চাকরি করি। সকালে অফিসের বারান্দায় ভাইকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বড় ভাই পরেশ আচার্য জানান, প্রশান্তকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। হত্যার ঘটনা চাপা দিতে ডাকাতির নাটক সাজানো হয়েছে। অফিসের অনেকেই প্রশান্তকে হিংসা করতো। তাদের ধরলেই জানা যাবে কিভাবে কী হয়েছে।

ডাকঘরের পোস্টমাস্টার রাকিব বিশ্বাস বলেন, প্রশান্তকে খুন করা ছাড়াও আমাদের বেশ কিছু টাকা খোয়া গেছে। আমরা খতিয়ে দেখছি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে ডাকাতির চেষ্টা মনে হয়েছে। দুর্বৃত্তরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে প্রশান্তকে হত্যা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ভাই গোবিন্দকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে পোস্ট অফিসের কিছু খোয়া গিয়েছে কিনা এটি তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সবগুলো দিক সামনে রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। 

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে ডাকাতির চেষ্টা মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইম সিন কাজ করছে। তবে পোস্ট অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু খোয়া যায়নি। মূল ভোল্ট দুর্বৃত্তরা কাটার চেষ্টা করেছে। তবে কি কি খোয়া গেছে তালিকা করার পর বলা যাবে। 

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, সিসিটিভি ফুটেজে মুখোশ পরা এক দুর্বৃত্তের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ভোল্টে থাকা কিছু টাকা খোয়া গিয়েছে বলে শুনেছি। তবে মূল ভোল্ট দুর্বৃত্তরা ভাঙতে পারেনি। এই ঘটনায় সিআইডি ও পুলিশ গুরুত্বসহ কাজ করছে।