পুলিশের ওপর হামলা মামলায় টুঙ্গিপাড়া যুবলীগের সম্পাদক কারাগারে
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম মাহমুদ হক। ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪ | ১৯:০২
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম মাহমুদ হক। শুক্রবার রাতে উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার কড়া নিরাপত্তায় গোপালগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয় মাহমুদকে।
বি এম মাহমুদ হক টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত লায়েক আলী বিশ্বাসের ছেলে। মাহমুদের বড় ভাই সোলায়মান বিশ্বাস উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহমদ আলী বিশ্বাস বলেন, গত ৮ মে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়। এদিন চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মাসুদুল হকের সমর্থকরা গিমাডাঙ্গা আইডিয়াল স্কুলকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। পুলিশ এতে বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ছুড়তে হয় তাদের।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা পুলিশের উপপরিদর্শক বদিয়ার রহমানকে মারধর ও তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এদিন পাটগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার বাড়িতেও হামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই বদিয়ার রহমান বাদী হয়ে ৯ মে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম মাহমুদ হকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বিএম মাহমুদ হকের ভাই এমদাদুল হক বিশ্বাসের ভাষ্য, তাঁর ভাই নিরপরাধ। এ ঘটনার তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
- বিষয় :
- টুঙ্গিপাড়া
- যুবলীগ
- নির্বাচন
