ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

হিলিতে কাঁচা মরিচ আমদানি বাড়লেও ঊর্ধ্বমুখী দাম

হিলিতে কাঁচা মরিচ আমদানি বাড়লেও ঊর্ধ্বমুখী দাম

ফাইল ছবি

হাকিমপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা  

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪ | ১৬:৪২

লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করা হচ্ছে রান্নার অন্যতম এ অনুষঙ্গ। গত সপ্তাহ থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি বেশ বেড়েছে। এতেও বাজারে পণ্যটির মূল্য কমেনি, বরং বেড়েছে। কেজি প্রতি দাম চড়েছে ২০-৩০ টাকা।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে দিনে চার-পাঁচ গাড়ি কাঁচা মরিচ আমদানি হত। এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০-১২ গাড়িতে। গত এক সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৭৬০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে, যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

আমদানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো ভারতেও অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে মরিচ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে দেশটির অভ্যন্তরেও পণ্যটির সংকট দেখা দিয়েছে। পরিণতিতে কেজিতে অন্তত ৪০-৫০ টাকা দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া আমদানি করা মরিচ গরম ও বৃষ্টির কারণে বস্তাপ্রতি তিন-চার কেজি পচে নষ্ট হচ্ছে। শুল্কায়ন করতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকায়। তবে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে দাম কিছুটা কমবে।

আমদানিকারক মশিউর রহমান জানান, আগে যেখানে প্রতি কেজি মরিচ আমদানি করতে ৮০-৯০ টাকা খরচ পড়ত, এখন ১২০-১৩০ টাকা খরচ পড়ছে। এ ছাড়া বস্তাপ্রতি ৩-৪ কেজি নষ্ট মরিচ বের হচ্ছে। সেই হিসাব করলে দাম আরও বেশি পড়বে। ভারতীয় রপ্তানিকারকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দাম আরও বাড়তে পারে।

এদিকে হিলি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে যে কাঁচা মরিচের দাম ১৫০-১৬০ টাকা ছিল, এখন তা ২০০-২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, দীর্ঘ ১১ মাস আমদানি বন্ধ ছিল। মে মাসে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের তীব্র সংকট দেখা দিলে সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর ২৩ মে থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়। কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য হওয়ায় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে দ্রুত বন্দর থেকে খালাস করা হচ্ছে এ পণ্য।

আরও পড়ুন

×