পুনর্বাসন কেন্দ্রে নির্যাতনের কথা আদালতে জানাল কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত
রংপুর অফিস
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫ | ১৭:০৫ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ | ২০:০৬
পালিয়ে আত্মরক্ষার পর রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন (বালিকা) কেন্দ্রে গিয়ে ফের নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এক কিশোরী। তার অভিযোগ, পুনর্বাসন কেন্দ্রে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের তথ্য গণমাধ্যমে বলায় তার চুল কেটে দিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা। সেইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নামে বারবার হয়রানি ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের অনিয়মের তথ্য গোপন করার জন্য চাপ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওই কিশোরী দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্যাতন থেকে মেয়েকে রক্ষায় বুধবার রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এ নিজ জিম্মায় নিতে আবেদন করেন ওই কিশোরীর মা। বিকেল ৫টার দিকে তাকে আদালতে আনা হয়। বিচারক সোয়েবুর রহমান কিশোরীর জবানবন্দি নেন এবং এজলাসে শুনানি করে তাকে মায়ের জিম্মায় দেন।
আদালতে ওই কিশোরী জানায়, আদালতে আনার আগে পুলিশ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা তাকে দু’বার থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পালিয়ে আত্মরক্ষার সময় যে বাড়িতে গিয়ে ওঠে, সেখানে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিশোরী আদালতে জানায়, পুনর্বাসন কেন্দ্রে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে তারা ৪ জন পালিয়ে যায়। পরে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ফিরে এলে তার চুল কেটে দেওয়া হয়।
কিশোরীর মা বলেন, 'জীবন বাঁচাতে আমার মেয়ে পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে আবারও সেই পুনর্বাসন কেন্দ্রে আমার মেয়েকে পাঠিয়েছে। মেয়ে কেমন আছে, জানতে আমি পুনর্বাসন কেন্দ্রে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন। মেয়ের চুল কেটে দেওয়া ও নির্যাতনের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।'
রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন (বালিকা) কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মেয়েরা নিজ ইচ্ছায় পালিয়ে গেছে।’
নগরীর দেওডোবা ডাংগীরপাড় এলাকার রংপুর সমন্বিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে গত ১২ জুন রাতে নিখোঁজ হয় চার কিশোরী। ১৫ জুন দুই কিশোরীকে উদ্ধার স্বজনরা। বাকি দুজনের এখনও সন্ধান মেলেনি।
- বিষয় :
- নির্যাতনের শিকার
- রংপুর