কাজী আনিসের সম্পদ জব্দ করল দুদক

কাজী আনিসুর রহমান
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২০ | ১০:৩২
পলাতক সাবেক যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমানের সম্পত্তি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জব্দের তালিকায় তার ঢাকার পাঁচতলা একটি ভবন, দুটি ফ্ল্যাট ও পাঁচটি দোকান এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাড়ি ও পেট্রোল পাম্পসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পলাতক রয়েছেন কাজী আনিস। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে র্যাবের অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্যাসিনো কারবারে যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার তথ্য জানা যায়। ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অনিয়মে যুবলীগের সামনের সারির কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হন। সে সময় কাজী আনিসের নামও উঠে আসে। কম্পিউটার অপারেটর থেকে যুবলীগের বিগত কমিটির দপ্তর সম্পাদক হওয়া এই নেতা কয়েক বছরের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হন। অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ পেলে গা-ঢাকা দেন তিনি। গত বছরের ১১ অক্টোবর তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। এর সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় ২৯ অক্টোবর কাজী আনিস ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে দুদক। আনিসের বিরুদ্ধে মামলায় ক্যাসিনো কারবারের মাধ্যমে ঘোষিত আয়ের বাইরে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি ঢাকার একটি আদালত কাজী আনিসের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেন।
জব্দ হওয়া সম্পদের বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, কমিশনের তদন্তে রাজধানীর কলাবাগানে আনিসের পাঁচতলা একটি বাড়ি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ধানমন্ডি ও ওয়ারীতে তার দুটি ফ্ল্যাট, এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটে তিনটি দোকানসহ গুলশান-২ নম্বর এলাকার একটি মার্কেটে দুটি দোকান পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে রাজধানীর বাইরে কাজী আনিসের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বোয়ালিয়ায় বিলাসবহুল বাড়ি, একটি পেট্রোল পাম্প, ৩০ কোটি টাকার ১৫ বিঘা জমি ও কেরানীগঞ্জে ৪০ কাঠা জমি পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া আনিসের ৫০ কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০৫ সালে কাজ শুরু করেন আনিস। সংগঠনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগে ২০১২ সালে উপদপ্তর সম্পাদকের পদ পেয়ে যান তিনি। দপ্তর সম্পাদকের পদটি খালি থাকায় ছয় মাসের মধ্যে তাকে ওই পদ দেওয়া হয়।