ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত

ফাইল ছবি

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০:১১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে একটি পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার কম্প্রিহেনসিভ (৪২১) কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৫০৩ ও ৫০৪ নম্বর কক্ষে আজ বৃহস্পতিবার যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার কম্প্রিহেনসিভ (৪২১) কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উক্ত বিভাগে উপস্থিত হন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিতের সুপারিশ করেন উপাচার্য।

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী সমকালকে বলেন, গতকাল বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে একটি উড়োচিঠি আসে। এই চিঠিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সব কোর্সের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। উক্ত আজ অনুষ্ঠিতব্য কোর্সের প্রশ্ন সেখানে দেওয়া ছিল। আমরা সেই চিঠির অভিযোগের ভিত্তিতে আজ পরীক্ষা শুরুর আগে উক্ত কোর্সের প্রশ্ন যাচাই করতে গিয়ে শতভাগ মিল পাই।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, উক্ত চিঠিতে বলা হয়, একজন শিক্ষক তার অনুগত শিক্ষার্থীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। সকল কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণও ওই ব্যক্তির কাছে রয়েছে বলে উল্লেখ ছিল উড়ো চিঠিতে।

জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন সমকালকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আজ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে গিয়েছিলাম। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপাচার্য পরীক্ষা স্থগিতের সুপারিশ করেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ জরুরি সিন্ডিকেট ডাকা হয়েছে। বিকেল পাঁচটায় এ সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আলী আজগর চৌধুরী সমকালকে বলেন, প্রশ্ন কম্পোজ করার সুবিধার্থে আমার গুগল ড্রাইভে রেখেছিলাম। সেখান থেকে কোনোভাবে কেউ নিয়েছে বা বেহাত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার সমকালকে বলেন, পরীক্ষা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জরুরি একাডেমিক কমিটি ডেকে পরীক্ষাটি স্থগিত করেছি। পরবর্তী পরীক্ষার সময়সূচি এখনও ঠিক করা হয়নি।

আরও পড়ুন

×