অধিকার

চিন্তা, বিবেক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য অপরিহার্য। এই স্বাধীনতাগুলো যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয় তখন ভলটেয়ারের ‘আমি তোমার কথার সঙ্গে হয়তো একমত

দলিত সম্প্রদায় বংশপরম্পরায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাদের সংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার পরেও জাত-পাত-বর্ণের কারণে এখনও তারা আনটাচেবল, অচ্ছুৎ। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধায় তারা সবচেয়ে নিম্নস্তরে। তারা তাদের বংশগতভাবে চর্চিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজকে ছোট করে দেখেন না। এই পেশাকে তারা মর্যাদার জায়গায় নিয়ে যেতে চান। এর বাইরে সমাজের যে পেশাগত বৈচিত্র্য আছে সেখানে তাদের অভিগম্যতাও চান। এমন কয়েকজন অদম্য নারীর গল্প বলছেন বাসন্তি সাহা ও বৃষ্টি দাস

বাংলাদেশি শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্যসংকট নিয়ে খুব কম কথাই হয়। চাকরি হারানোর আতঙ্ক, তিরস্কারের অপমান, দুর্ঘটনার ট্রমা—সব মিলে অনেকেই হতাশা, উদ্বেগ ও মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন। অথচ কারখানা অঞ্চলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রায় অনুপস্থিত। কারখানাগুলোকে বাধ্য করতে হবে কাউন্সেলিং পরিষেবা চালু করতে, এবং মানসিক স্বাস্থ্যকেও পেশাগত নিরাপত্তার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। একটি সুস্থ শ্রমশক্তি শুধু নৈতিক কর্তব্য নয়—টেকসই উৎপাদনের জন্যও অপরিহার্য।

অন্তর্বর্তী সরকারের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ‘সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলুপ্তি এবং নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। প্রতিবেদনের ভূমিকায় বলা হয়েছে, এ কমিশনের প্রধান বিবেচনা হবে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসন এবং নারী-পুরুষ সমতা অর্জনে পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলো বিভিন্ন মেয়াদে বাস্তবায়নে সুপারিশ তৈরি করা।

সম্প্রতি অধিকারকর্মীরা তাদের নৈতিক ও ন্যায্য দাবি জানাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে গেলে পুলিশ বাধা দেয়; এক পর্যায়ে সংঘাতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। এ অবস্থাই চলে আসছে। কিন্তু এর পরিবর্তন কি অসম্ভব? নাগরিকরা রাস্তায় নামার আগে সরকারের সংস্থাগুলো কেন ব্যবস্থা নেয়নি– এ প্রশ্ন তোলা জরুরি। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

ময়মনসিংহের অভিবাসী কর্মী হাফিজ (ছদ্মনাম) ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সৌদি আরব যান আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে। তিনি এক সৌদি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, যেখানে তাঁকে প্রতি

পুরুষতান্ত্রিকতার শিকল ভাঙার মানসে ও নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি নারী জাগরণের আলোকবর্তিকা, নারীশিক্ষার অগ্রদূত। ১৮৮০ সালে রংপুরের মিঠাপুকুরে তাঁর জন্ম। সেখানে নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ হয় বেগম রোকেয়ার নামে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে।

জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী আটশ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। দেখা গেছে, প্রতি তিনজনের একজন নারী জীবদ্দশায় নির্যাতন, ধর্ষণ ও শারীরিক হেনস্তার শিকার হন। সে হিসাবে সংখ্যাটা দাঁড়ায় একশ কোটির বেশি।

মৌলভীবাজারের সেই গৃহবধূ নুরজাহানের কথা কি মনে আছে? যিনি সমাজপতিদের ষড়যন্ত্রমূলক সালিশের রায়ে পাথরের আঘাত ও অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন। সময় বদলেছে,