কাপ্তাই হ্রদ

কাপ্তাই লেকে কার্পজাতীয় মাছের পঞ্চম প্রজননক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি লংগদু উপজেলার কাসালং চ্যানেলের মালাদ্বীপ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি নতুন প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে।

১৯৬০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফূলী নদীর উপর বাঁধ দেওয়া হয়। এ বাঁধের ফলে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিশাল জলধার সৃষ্টি হয়। এ বাঁধের ফলে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হচ্ছে

ধুঁকতে থাকা কাপ্তাই হ্রদের প্রাণ ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এরই মধ্যে রাঙামাটির ‘কর্ণফুলী ও সংযুক্ত নদীসমূহের টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ নামে ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে সাড়ে চার বছর। চলতি জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত। 

রাঙামাটির পর্যটনকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে শনিবার কাপ্তাই হ্রদে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সুবলং চ্যানেল সুইমিং প্রতিযোগিতা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকমানের সাঁতারু তৈরির লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়।

কাপ্তাই হ্রদের পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় ফের সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ জলকপাট। এর আগে এর আগে হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ১৬ জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছিল।

দীর্ঘ চার মাস পর আজ শনিবার মধ্যরাত (১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা) থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হবে। এতে মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী ও জড়িত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বইছে। এর আগে মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য গত ২৫ এপ্রিল থেকে কাপ্তাই হ্রদে তিন মাসের জন্য মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু হ্রদে পানি স্বল্পতার কারণে দুই দফায় নিষেধাজ্ঞার সময় বর্ধিত হয় আরও এক মাস সাতদিন। অবশেষে ১ সেপ্টেম্বর শনিবার মধ্যরাত থেকে হ্রদে মাছ শিকার শুরু হচ্ছে।