মাছ ধরা

ট্রলার আটকের পর বরগুনার পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের কার্যালয় ঘেরাও করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার সপ্তাহখানেক পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি পাথরঘাটার অর্থনৈতিক কার্যক্রম। গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলে ও মৎস্যজীবীদের বেশির ভাগই আত্মগোপনে। ফলে পাথরঘাটা মোকামে মাছের পাইকারি কেনাবেচা কমে গেছে দুই-তৃতীয়াংশ।

টানা বৃষ্টিতে খাল-বিলে বাড়ছে পানি। নতুন পানিতে উজানে ছুটছে নানা প্রজাতির মিঠাপানির মাছ। বর্ষা মৌসুমে গ্রামে মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রির ধুম পড়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি মাছ ধরার ফাঁদ চাঁই বিক্রি

‘একসময় সব ছিল, বাপের বাড়ি, স্বামীর বাড়ি। কোথাও কোনো অভাব দেখিনি। অবস্থা ভালো হওয়ায় কাজকর্ম করার কথা কল্পনাতেও আসত না। অল্প জমি আর স্বামীর আয়-রোজগারে আরাম-আয়েশে সংসার

আজ মধ্য রাত থেকে দেশের বঙ্গোপসাগরে নতুন সময়সীমা অনুযায়ী শুরু হচ্ছে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা।

প্রজনন মৌসুমে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৬৫ থেকে কমিয়ে ৫৮ দিন করেছে সরকার। সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে মৎস্য গবেষক, জেলে ও ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। 

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবৈধভাবে প্রবেশ করে একটি চক্র পারশে মাছের পোনা নিধন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ চক্রের ১০ জেলেকে এরইমধ্যে আটক করেছে বন বিভাগ।

পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়ভাবে শুঁটকি উৎপাদনে ব্যস্ত হয়ে ওঠে হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চলের শুঁটকি পল্লিগুলো। তবে সময়ের সঙ্গে সেই কর্মব্যস্ততা কমে আসছে। ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে শুঁটকি উৎপাদনকারী পরিবারের সংখ্যা। সেই সঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প।

৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে সাগরে মাছের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মোংলার আলোরকোলের ব্যবসায়ী সুধাংশু বিশ্বাস ও শেলারচরের সেকেন্দার আলী। তবে চলতি বছরের মতো এত মাছ সংকট কখনও দেখেননি

সুন্দরবনসংলগ্ন সাগর উপকূলে শুরু হয়েছে সামুদ্রিক মাছ আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম। গত সোমবার থেকে পাঁচ মাসব্যাপী এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে দুবলার চর এখন হাজার হাজার মৎস্যজীবীর পদচারণায় মুখর।

জীবনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মৎস্য আহরণ করলেও নানা প্রতিকূলতায় ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পারেনি উপকূলের জেলে পরিবারগুলো। বরং দিন দিন তাদের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। ক্রমবর্ধমান ক্ষতির মুখে ইতোমধ্যে পুঁজি ও জাল-নৌকা হারিয়ে পেশা