সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ফিলিস্তিন, ইউক্রেন, ইরানে যে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে তার মূলে পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থার দায় দেখছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তার ভাষ্য, ইসরায়েল 'জায়নবাদী' তৎপরতা অব্যাহত রেখে এখন জাতীয়তাবাদের ‘সবচেয়ে আগ্রাসী রূপ দেখাচ্ছে’। বিশ্বযুদ্ধের যে দামামা বাজছে তা থামাতে তিনি পৃথিবীজুড়ে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছেন।

আমাদের মতো অনেকেরই চিন্তার জগৎ প্রভাবিত হয়েছে তাঁর লেখা দিয়ে। জুলাই অভ্যুথান-পরবর্তী বাংলাদেশে নতুনভাবে জাতির পরিচয়, মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদের ধারণাগুলোর নতুন বয়ান নির্মাণের বহুমুখী প্রচেষ্টা সামনে আসছে তখন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দৃঢ় কণ্ঠস্বর আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। তাঁর জীবন ও কর্ম আমাদের শেখায়– সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস কখনও অপ্রয়োজনীয় নয়।

আমার মায়ের পক্ষে রাজনীতিতে আগ্রহী হওয়ার কথা ছিল না। তিনি হনও-নি, কিন্তু বিদ্যমান রাজনীতির ঝাপটা তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে বৈকি, বৃক্ষ যেমন সহ্য করে ঝড়কে। রাষ্ট্রের উত্থান-পতন দেখেছেন, টের পেয়েছেন, উদ্বাস্তু হয়েছেন বারবার, মুখোমুখি হয়েছেন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির।

অনেকেই মনে করেন যে আমাদের স্বাধীনতা ছিনতাই হয়ে গেছে। মনে করাটা যে একেবারে অযৌক্তিক তাও বলবার উপায় নেই। মুক্তি তো পরের কথা, এমনকি স্বাধীনতাও খুব একটা দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে সাধারণ মা

কতকাল আগে দার্শনিক হেরেক্লিটিস কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিল কথাটা যে, জগতে সব কিছুই সর্বদা বদলে যাচ্ছে। ভাষার ব্যাপারে এ বক্তব্য খুবই সত্য। সমস্ত জীবিত ভাষাই সর্বক্ষণ বদলাচ্ছে। কিন্তু এটা

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জনগণের জন্য যুদ্ধ করেছেন বলে জানিয়েছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ প্রতিষ্ঠান গড়ে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা করে গেছেন।

আলবদর বাহিনীর লোকেরা অশিক্ষিত ছিল না। অশিক্ষিত লোক হলে তারা নিরীহ বুদ্ধিজীবীদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করতে পারত না, হয়তো তাদের হাত নড়ে উঠত, বুক কাঁপত, হয়তোবা চোখে আসত পানি।

গত ৫ আগস্ট ঘটেছেটা কী? সেটার বিবেচনা খুবই জরুরি। কেউ বলছেন, আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। কারও কারও ধারণা আরও অগ্রসর। তারা বলছেন, দেশে একটা বিপ্লবই ঘটে গেছে।

বইয়ের ভবিষ্যৎ আজ মানুষের ভবিষ্যতের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, বই এখন খুব দুর্দিনে আছে। মুনাফাবাদী বিশ্বব্যবস্থা মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে, স্বার্থপরে পরিণত করছে। মানুষ বই পড়ায় আগ্রহী না হয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, তা অনেকখানি থিতিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় বসেছে।