ফরিদপুরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। ছবি: সমকাল
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪ | ১৭:৩৮ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ | ১৭:৩৯
ফরিদপুরে ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানা (৪০) নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানা (৪০) সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার খামারবড়ধুল গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানা সঙ্গে ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তারা ফকিরের মেয়ে তানিয়া সুলতানা সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ হয়। এর সূত্র ধরে ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে তানিয়ার নিজ ঘরে বসবাসকালে তানিয়ার বড় মেয়ে স্কুলপড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে তার নিজ ঘরে ধর্ষণ করেন। ওই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়া এবং খুন করার হুমকি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে ওই মেয়েকে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি স্কুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে মোটরসাইকেলযোগে হারুন তাকে ঢাকার এক বাসায় নিয়ে যান। সেখানেও একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর দিন হারুন সৎ মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। ওই মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলা ও জখম দেখতে পান মা। পরে মেয়েটির মা তানিয়া সুলতানা গ্রামের স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হারুনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় মা তানিয়া আক্তার নগরকান্দা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।
নগরকান্দা থানার এএসআই অসীম মন্ডল ২০২০ সালের এপ্রিল ৩০ হারুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনাণি শেষে আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
- বিষয় :
- আদালত
- ফরিদপুর
- মামলা
- মামলার বিচার