ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ 

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ 

ছবি-সংগৃহীত

যশোর অফিস

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪ | ২২:১৫

যশোরে যৌতুক না পেয়ে এক নারীকে মারপিটের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানা মামলা না নেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী, দেবর ও শাশুড়ির নামে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বাঘারপাড়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারীর আইনজীবী।

আসামিরা হলেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম এবং হাফিজা খাতুন। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৫ মে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সিলুমপুর গ্রামের জামসের আলীর মেয়ে আনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালংকারসহ ২ লাখ টাকার পণ্য উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। গত জানুয়ারি থেকে ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তরিকুল ইসলাম। আনোয়ারা টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় তরিকুল, তার ভাই তৌহিদুল ও মা হাফিজা তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু করে। সর্বশেষ গত ২৭ জুন ছেলে সন্তানসহ আনোয়ারাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে তিনি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এর পর তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চালান। 

গত ১৬ জুলাই আনোয়ারার বাবার বাড়িতে মীমাংসায় বসেন দুই পরিবারের লোকজন। এর পর আনোয়ারা ও তাঁর সন্তানকে নিয়ে মাইক্রোবাসে মেহেরপুরের উদ্দেশে রওনা হয় তরিকুল, তার ভাই ও মা। পথে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুরে পৌঁছলে আনোয়ারাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তারা মারপিট করে এবং তাঁর মাথার চুল কেটে দেয়। এ সময় তাঁর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আনোয়ারা খাতুন আদালত চত্বরে কাঁদতে কাঁদতে জানান, তাঁর স্বামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার অনেক প্রভাব। তারপরও তাঁকে এভাবে নির্যাতন চালাবে, তিনি ভাবতেও পারেননি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। 

আনোয়ারার আইনজীবী মোস্তাফা হুমায়ুন কবির জানান, ভুক্তভোগী নারী বাঘারপাড়া থানায় গেলে থানা মামলা নেয়নি। তিনি এখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বাঘারপাড়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাঘারপাড়া থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, আমি থানাতে নতুন এসেছি। আমি আসার আগে হয়তো ওই ভুক্তভোগী আসতে পারেন। 
 

আরও পড়ুন

×