২৪০ চিঠির বিষয়ে জানতে মাউশির ডিজিকে ডাকলো দুদক

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে এ পর্যন্ত মাউশি মহাপরিচালকের (ডিজি) কাছে ২৪০টি চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদককে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে ওইসব চিঠিতে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ওই ২৪০টি চিঠির মধ্যে একটি চিঠির ব্যাপারেও দুদককে অবহিত করা হয়নি। ওই চিঠিগুলোতে উল্লেখ করা অভিযোগ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা- সেটা জানতে মাউশির মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুককে ডেকেছে দুদক। বুধবার সকাল ১১টায় তাকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সমকালকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছে মাউশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। তার মধ্যে অনেক অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। সেসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে মাউশি মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযোগগুলো বর্তমানে কি অবস্থায় আছে- সেসবই জানতে মাউশি ডিজিকে ডাকা হয়েছে।

দুদক সচিবের নেতৃত্বে কমিশনের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ দলের সদস্যরা মাউশি মহাপরিচালকের কাছে ওই ২৪০টি চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইবে। এই দলে দুদকের প্রতিরোধ শাখার মহাপরিচালক একেএম সোহেলসহ সংশ্নিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন।

জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের বিধি-বিধান লঙ্ঘন ও নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। এর মধ্যে যেসব অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত, সেগুলো আমলে নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। আর যেগুলো দুদকের তফসিলভুক্ত নয়, সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে মাউশি কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠায় দুদক। এভাবেই ২৪০টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ২৪০টি চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযোগ মাউশি তদন্ত করেছে কিনা, তদন্ত করা হলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তদন্ত না করা হলে ওইসব অভিযোগ কি অবস্থায় আছে- এসব দুদকের অজানা। সেগুলো জানতে চাওয়া হবে মহাপরিচালকের কাছে।