ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

কানাডায় প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন

কানাডায় প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন

কানাডায় প্রবাসজীবনে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন নানা গল্প আর আড্ডায়। ছবি: সমকাল

কানাডা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫ | ১০:২৭ | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৫ | ১০:২৯

ঈদ এলেই সবারই স্বপ্ন বাড়ি যাবে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু প্রবাসীদের বেলায়। ইচ্ছে থাকলেও বাস আর ট্রেনের টিকিট কেটে দেশের বাড়িতে যাওয়া যায় না তাদের। দেখা হয় না মমতাময়ী মা বাবা পরিবার আর স্বজনদের সঙ্গে।

কানাডায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেওয়া বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ ছুটে যান শহরের অদূরের ফার্মগুলোতে। কারও কাওে অর্ডার থাকে গ্রোসারি দোকানে, যেখানে কোরবানির মাংস পেতে তিন চার দিন সময় লেগে যায়। আবার কারও কারও থাকে কর্মদিবস। তবুও খুব ভোরে নতুন পোশাক পরে আগেভাগে বের হয়ে পড়েন ঈদের নামাজ আদায় করতে। 

যান্ত্রিকতাময় প্রবাস জীবনে ঈদের দিনে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হন একে অপরের সঙ্গে। শ্রদ্ধা ভালবাসা আর সহমর্মিতায় পরিণত হয় মিলনমেলার।সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন নানা গল্প আর আড্ডায়।

আডডায় ঈদ আনন্দের সঙ্গে উঠে আসে দেশের সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার। আড্ডার পাশাপাশি চলে ঈদ উপলক্ষে নানা সুস্বাদু খাবার। বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, মাংসের চপ, রোস্ট, জর্দা আর গৃহবধূদের নিজ হাতের তৈরি দইসহ নানামাত্রিক রান্না করা খাবারের আয়োজন।

এই মহামিলনের পাশাপাশি প্রবাস থেকে দেশের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গেও চলে টেলিফোনে আলাপচারিতা। এই আলাপে কারও কারও নয়ন ভেসে আসে জলে। অশ্রুসিক্ত নয়নে দেশে একসঙ্গে ঈদ না করতে পারার আক্ষেপও।

প্রবাসে ঈদ উদযাপন নিয়ে সেলেস্টিয়া প্রোডাক্শনস অ্যান্ড পিয়ারলেস কলেজের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সি ই ও ডা. গুলশান আক্তার বলেন, এখানে আনন্দ উৎসবে আমরা অংশগ্রহণ করি ঠিকই, কিন্তু দেশের মত আনন্দ পাইনা। যান্ত্রিকতাময় প্রবাস জীবনে দেশের আত্মীয় স্বজনকে খুব মিস্ করি।
 
 ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ আলম বলেন, ঈদের দিন সময় বের করে বাংলাদেশের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। বিশেষ এই দিনে দেশের কথা, স্বজনদের কথা খুব মনে পড়ে। শৈশবের সেই আনন্দের ঈদের দিন, সময় আর কখনই ফিরে পাওয়ার নয়, সেই সময়ের ঈদ এখন কেবলই স্মৃতি।

আরও পড়ুন

×