দুর্যোগ মোকাবিলা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে ১০ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিগণিত হলেও জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়টি বাজেট প্রণেতাদের কাছে যথাযথ গুরুত্ব পায় না, যার প্রতিফলন হচ্ছে মোট বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ মাত্র ১.৩ শতাংশ।

বাড়িঘরে হাঁটু থেকে কোমরপানি। গ্রামীণ সব সড়ক, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ। ভেঙে গেছে বাঁধ। ভাঙছে নদী। বন্ধ নৌ চলাচল। বিদ্যুৎহীন লাখো মানুষ। সাগরে

বন্যা, ঝড় ও তাপপ্রবাহের ফলে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। উপকূলীয় এলাকার ১৯ জেলায় মোট চাষযোগ্য জমির প্রায় ৪৯ শতাংশ বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততায় আক্রান্ত। গত কয়েক দশকের ব্যবধানে দেশে বেড়েছে খরাপ্রবণতাও। খরাপ্রবণ জেলাগুলোর আবাদি জমির ৬৪ শতাংশ এখন ক্ষতিগ্রস্ত। খরায় বছরে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। 

নানা চড়াই-উতরাই, পরিবর্তন আর বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে পথ চলছে আমাদের এ নীল গ্রহ। মানুষের আগমনের আগেও ছিল এ পৃথিবী, ছিল প্রাণের বিকাশ। ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। পৃথিবীকে টিকিয়ে

বন্যা, খরা, ঝড় ও তাপপ্রবাহে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন বা তিন হাজার কোটি ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। পাশাপাশি এসব দুর্যোগে প্রতিবছর ৬৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়।

টালমাটাল রাজনীতি আর রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মতো বাংলাদেশের প্রকৃতিও ২০২৪ সালে প্রায় পুরো সময় বৈরী অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। বছরটা শুরু হয়েছিল তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে।

দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ ক্ষেত্রে নারী ও প্রবীণ বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। প্রতিবন্ধিতা মানব বৈচিত্র্যের একটা অংশ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন। এই বৈচিত্র্য এবং চাহিদার ভিন্নতা দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সব দিক থেকেই বিবেচনা করা প্রয়োজন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অনেক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এ জন্য গণসচেতনতা যেমন দরকার, তেমনি প্রয়োজন ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো অবকাঠামো নির্মাণ, উঁচু বাঁধ তৈরি ইত্যাদি।

কুড়িগ্রাম জেলায় দারিদ্র্যের হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ বন্যা ও নদীভাঙন। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার রৌমারী উপজেলা রয়েছে চরম দরিদ্র জনপদের তালিকায়। প্রতিবছর একাধিকবার বন্যা দেখা দেয়

এ বছর বন্যাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধাসহ কোনো কোনো এলাকায় স্বাভাবিক বন্যা হলেও,