গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

সাজেদা আকতার
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০৩:২০ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০৩:২০
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে সাজেদা আকতার (৩২) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনামূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার ওই গৃহবধূর স্বামী আমির হোসেনকে (৩৫) আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন সাজেদা আকতারের বড় ভাই জসিম উদ্দিন।
অভিযুক্ত আমির হোসেন পেশায় একজন পালিশ মিস্ত্রী।
এর আগে গত শনিবার দুপুরে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকার নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মারা যাওয়া সাজেদা আকতার পটিয়া উপজেলার মেহেআটি গ্রামের মৃত মকবুল হকের মেয়ে।
সাজেদার বড় বোন মোছাম্মৎ রাশেদা বেগম জানান, ২০০৮ সালে পারিবারিকভাবে সাজেদা ও আমির হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১১ বছরের একটি মেয়ে ও ৯ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের তিনবছর পর্যন্ত তাদের সংসার ভালোই চলছিল। এরপর থেকে জাহেদার ওপর তার স্বামী নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে সাজেদা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরিতে যোগ দেন।এরপর থেকে সাজেদা ও তার স্বামীর ঝগড়াঝাটি আরও বেড়ে যায়।
রাশেদা বেগম আরও জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেদা জানায় আমির তাকে খুব মারধর করায় সে কাজ থেকে চলে এসেছে। বিকেলে রাশেদা তার বোনের আত্মহত্যা খবর পান।
রাশেদা বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী জাহেদার বড় ভাই জসিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর ধরে আমির বেশ কয়েকজন নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এসব নিয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিকবার সামাজিক বৈঠকও হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বোনের উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে গত মাসেও একটি সামাজিক বৈঠক হয় । কিন্তু আমির সেই বৈঠকে আসেননি। তার অভিযোগ, জাহেদাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী আমির হোসেনকে আসামি করে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে মামলা করেছে জাহেদার বড় ভাই জসিম উদ্দিন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।