১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরিতে রহস্য তৈরি করল একটি চাদর

রাজধানীর ধানমন্ডিতে দোকানে তালা মেরে নামাজে যান বিক্রয়কর্মীরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানের সামনে আসেন ৯ যুবক। তাদের মধ্যে দু’জন ছাড়া সবার মুখে মাস্ক ছিল। এর পর একজন একটি চাদর দিয়ে দোকানের শাটার আঁড়াল করেন।

এই সুযোগে চোর চক্রের দুই সদস্য চাদরের আঁড়ালে গিয়ে শাটারের তালা কাটেন। পরে একজন দোকানের ভেতরে ঢোকেন। বাকি সদস্যরা পাশের দোকানের জিনিসপত্র কেনার নামে তাদের ব্যস্ত রাখেন। ৭ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ নিয়ে বেরিয়ে যান চোর চক্রের সদস্যরা।
গত শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার বিপণিবিতানের ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে। বিপণিবিতানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই দৃশ্য ধরা পড়ে। পরে এ ঘটনায় দোকানের মালিক কাজী আকাশ ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, দোকান ও মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দুপুর ১টা ১ মিনিটে ৯ জন লোক দোকানের সামনে ঘোরাফেরা করেছেন। এর ৭ মিনিট পর ব্যাগে ভরে স্বর্ণ নিয়ে বেরিয়ে যান। তাদের দু’জন বাদে সবার মুখে মাস্ক ছিল। চুরির সঙ্গে বিপণিবিতানের ভেতরে কেউ জড়িত কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সীমান্ত স্কয়ারে স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের তিনটি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স নিচতলায়। এর আশপাশে কাপড় ও প্রসাধনীর দোকান রয়েছে। জুমার নামাজের সময় ক্রেতা কম ছিল। ক্রেতার বেশে চোর চক্রের সদস্যরা বিপণিবিতানে ঢোকেন।

দোকানের মালিক কাজী আকাশ বলেন, ‘দোকানের শাটারে একটি তালা মেরে জুমার নামাজে যান বিক্রয়কর্মীরা। এই সুযোগে তালা কেটে ভেতরে ঢুকে দোকানের সব স্বর্ণ নিয়ে গেছে চোরেরা।’

ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম বলেন, ‘স্বর্ণের দোকানে চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’