ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সাবেক মৎস্য মন্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

সাবেক মৎস্য মন্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪ | ১৬:৩১ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪ | ১৬:৩৩

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ওই চারজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হবে।

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ফরিদপুরের মধুপুরে ভবন নির্মাণ, রাজউকের পূর্বাচলসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনা, নিজ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র, তার স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের নামে শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২, করবী, ফ্ল্যাট নং-৩ ই, ৩/৩ এ, পরিবাগ ঢাকাসহ ৪ টি ফ্ল্যাট, এছাড়া দেশের বাইরে টাকাপাচার করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং কানাডায় একাধিক বাড়ি কেনার তথ্য দুদকের কাছে এসেছে। যে কারণে কমিশন প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়াদ্দারের (ছেলুন) বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে তিন তলা বিলাসবহুল ‘জোয়াদ্দার কুটির’ নামে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয়, প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি এসি-ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় (বাড়ি নং-১২, সেক্টর নং-১০, রোড নং-১২, উত্তরা মডেল টাউন) ৫ কাঠা জমির ওপর বাড়ি, ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, ২টি গাড়ি (ঢাকা মেট্রে-গ-৩৪-৬৮৮৮ ও ঢাকা মেট্রে-ঘ-২১-৫১৬২), নিজ নামে দিনাজপুরের উথরাইল মৌজা, পুচকুর মৌজা, রামপুর মৌজা ও জালালপুর মৌজায় বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

অপরদিকে, মো. সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে মাগুরা জেলার জাগলায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে অটোব্রিকস ফিল্ডের ব্যবসা, মাগুরা জেলার চাওলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নগর পদ্দবিলে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে মৎস্য খামার, তার নিজ নামে ১০টি ট্রাক, শ্যালকের নামে ২টি এবং খালকুড়া নবাবের ছেলের নামে ২টি গাড়ি কেনা, ২১৯ সৈয়দ আতর আলী রোড, সদর উপজেলা, মাগুরায় তার মালিকানাধীন মনোয়ারা কমপ্লেক্স নামে বহুতল মার্কেট, মাগুরার বিভিন্ন জায়গায় তার  নামে অনেক জমি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।

আরও পড়ুন

×