ফেসবুকে আত্মহত্যার ঘোষণা তরুণীর, ৯৯৯ এ ফোনের পর উদ্ধার

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার ঘোষণা দেওয়া এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর রূপনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দাম্পত্য কলহের জের ধরে ওই তরুণী আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

৯৯৯-এর পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা) আনোয়ার সাত্তার সমকালকে বলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাংবাদিক মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ৯৯৯-এ কল করেন। তিনি জানান, তার সাবেক এক নারী সহকর্মী ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়ে বন্ধুদের বিদায় জানিয়েছেন এবং তার মৃতদেহ নেওয়ার জন্য রূপনগরে যাওয়ার কথা বলেছেন। ওই সময় তরুণী রূপনগরে তার স্বামীর বাসার সামনে ছিলেন। তাকে উদ্ধারের অনুরোধ জানান ওই সাংবাদিক। তখনই তার সঙ্গে রূপনগর থানার ডিউটি অফিসারের যোগাযোগ করিয়ে দেন ৯৯৯ এর কর্মীরা। এরপর রূপনগর থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। রূপনগর থানার এসআই মো. এনামুল ঘটনাস্থল থেকে জানান, তিনি ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছেন।

ওই তরুণীর বরাত দিয়ে ৯৯৯ এর কর্মীরা জানান, তার স্বামী একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তিনি ঢাকার বাইরে আছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইদহ থেকে রূপনগরে স্বামীর বাসায় আসেন তরুণী। তবে বাসার নিরাপত্তাকর্মী তাকে ঢুকতে দেননি। তার স্বামীই এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান নিরাপত্তাকর্মী। নিরূপায় হয়ে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। 

তরুণী জানান, স্বামীর কারণে তিনি টিভি চ্যানেলের কাজ ছেড়েছেন। তবু স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। এরপর বাসায় ঢুকতে না দেওয়ার মতো ঘটনায় তিনি ভেঙে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি হতাশা থেকে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন এবং ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

৯৯৯ এর এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, উদ্ধারের পর ওই তরুণীকে প্রাথমিক কাউন্সেলিং করা হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সব আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। তিনি যেন কোনোভাবেই আত্মহত্যার মতো পদক্ষেপ না নেন। পরে রূপনগর থানার এসআই এনামুল তরুণীকে রূপনগরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেন। পুলিশ তরুণীর স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে। তিনি ঢাকায় ফিরে বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দিয়েছেন।