শিক্ষাঙ্গন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিদায়ের মাধ্যমে আমরা আশা করেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটবে; নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম চালু হবে। সে আশায় গুড়েবালি। কুয়েটের উপাচার্য

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতি একসময় পরিবর্তনের চালিকাশক্তি ছিল। প্রতিটি ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ছাত্র রাজনীতি

দল বা নিজ মতের (প্রধানত দ্বিতীয়টি) বিরুদ্ধে গেলেই অন্যকে একটা নেতিবাচক তকমা দিয়ে দোষারোপ করা সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষত রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বিশেষ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্রিটিশের বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে পূর্ববঙ্গের অগ্রগতির সম্ভাবনা বিনষ্টে এ অঞ্চলের মুসলমানদের অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রশমিত করতে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে নাথান কমিশন। একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত (বঙ্গভঙ্গ) বাতি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নারী, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। নারীরা এ আন্দোলনে যেভাবে শিকল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন, তার মাধ্যমে যেমন আন্দোলনে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ বাড়ে, তেমনি বিগত সরকারের পতনও ত্বরান্বিত হয়।

ইদানীং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। একটি অনলাইন জরিপের সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৮৩ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি ‘একে

আশা করি, জন-আকাঙ্ক্ষায় গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নিয়ে দেশের শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন।

বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে কীভাবে সর্বস্তরে পঙ্গু করে দেন। আজ আমাদের প্রশ্ন– রাজনৈতিক মতাদর্শে উজ্জীবিত কাউকে উপাচার্যের আসনে বসিয়ে বুয়েট কি আরেকজন আবরার দেখতে প্রস্তুত?

আবারও প্রমাণ হলো– শিক্ষাঙ্গনই পরিবর্তনের সূতিকাগার। শিক্ষার্থীরাই পারে স্বৈরশাসকদের হার মানাতে; স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আমাদের মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।