তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার ১৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার নেওয়াজ শরীফ রাসেল
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২২ | ০৮:৫৫ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২২ | ০৮:৫৫
এক হাজার চারশ টাকার জন্য ২০০৭ সালে জেলার লাকসামে তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেওয়াজ শরীফ রাসেল ওরফে সবুজকে ১৭ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সে লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং এলাকার সেলিমের ছেলে।
সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে জেলার সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকা থেকে নেওয়াজ শরীফ রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। ঘটনার পরদিন রাসেল ঢাকার সাভার উপজেলার ডগরমুরা এলাকায় তার বাবার বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। নিজের আসল পরিচয় গোপন রাখার জন্য রাসেল ডগরমুরা এলাকায় সবুজ নামে পরিচিতি লাভ করে। সে কখনও হকার আবার কখনও বাসের হেলপারের কাজ করে আসছিল। সর্বশেষ ২০২০ সালে কুমিল্লায় ফিরে এসে বরুড়ায় বসবাস শুরু করে। এ সময় সে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। তাকে লাকসাম থানায় হস্তান্তরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে রাসেলসহ তার কয়েকজন সহযোগী লাকসামের স্থানীয় ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ, পরীক্ষিত দেবনাথ ও বাচ্চু মিয়াকে মারধর করে এক হাজার চারশ টাকা লুটে নেয়। এ সময় রাসেল ও তার সহযোগীদের চিনতে পেরে ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ করার হুমকি দেয়। এতে আসামি রাসেল ও তার সহযোগীরা তিন ব্যবসায়ীকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তাদের পার্শ্ববর্তী একটি মাঠে নিয়ে চাপাতি ও ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত বাচ্চু মিয়ার ভাই কবির হোসেন পরদিন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় খুনসহ ডাকাতির মামলা করেন।
মামলার চার্জশিট ও শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুর নাহার বেগম শিউলী মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- রাসেল, আব্দুর রহমান, শহীদুল্লাহ, ফারুক হোসেন ও স্বপন। তাদের মধ্যে আব্দুর রহমান, শহীদুল্লাহ ও ফারুক হোসেন আগেই গ্রেপ্তার ছিল। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হয়েছে রাসেল। অপর আসামি স্বপন পলাতক রয়েছে।