যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যা মামলায় ১৩ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ছবি: সমকাল
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২২ | ০৪:৪৩ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ | ০৪:৫১
কুমিল্লায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে নির্যাতনে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৩ বছর পর তার স্বামী আবদুল কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন এই রায় দেন। এ মামলায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
রায় প্রদানকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পিপি ও রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত সমকালকে এসব তথ্য জানান।
আদালত ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারডোগা গ্রামের মালু মিয়ার ছেলে আবদুল কাদের তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় নির্যাতন করতেন। বিয়ের সময় দাবি করা ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ঝর্ণার পরিবার আবদুল কাদেরকে ২০ হাজার টাকা দেয়, বাকি ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন করা হতো। ২০০৯ সালের ২৪ জুন ভোরে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ঝর্ণার বোন খালেদা বেগম বাদী হয়ে আবদুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। থানা পুলিশের পর সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে আসামি ঝর্ণার স্বামী আবদুল কাদের, মনোয়ারা বেগম, নাজমা আক্তার ও আবদুছ ছাত্তারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ মামলায় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ মামলার রায় প্রদান করেন। রায়ে আসামি ঝর্ণার স্বামী আবদুল কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন এবং অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পিপি ও রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত।