নায়ক ফারুকের মরদেহ ঢাকার পথে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩ | ০১:৪৭ | আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ | ০১:৪৭
বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে ফারুকের মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
ফারুকের মেয়ে ফারিয়া তাবাসসুম পাঠান তুলসী সমকালকে বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাবার মরদেহ মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবে। জানাজার নামাজের বিষয়ে এখনও পারিবারিক কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। তবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমালিয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বাবাকে।’
এদিকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ জানান, ফারুক ভাইয়ের মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সকাল ১১টায় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে, সেখান থেকে মরদেহ আনা হবে এফডিসিতে। বাদ জোহর এখানে জানাজার নামাজ শেষে দ্বিতীয় জানাযা হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। এরপর তার জন্মস্থান জন্মস্থান কালীগঞ্জে নেওয়া হবে মরদেহ। সেখানে জানাযা নামাজ শেষে মরদেহ দাফন করা হবে।
সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।