ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

'সন্ত্রাসী'দের অবস্থান জানানোয় পুলিশি হয়রানির অভিযোগ

'সন্ত্রাসী'দের অবস্থান জানানোয় পুলিশি হয়রানির অভিযোগ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ | ১০:২১ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ | ১০:২৬

'অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী'দের অবস্থানের তথ্য দিয়ে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নোয়াখালী জেলার সভাপতি বেলায়েত হোসেন। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। অবশ্য পুলিশ বলছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিলেন বেলায়েত।

সংবাদ সম্মেলনে বেলায়েত হোসেন জানান, গত ১২ জানুয়ারি নোয়াখালীতে তার বাড়ির অদূরে জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে ১৫-২০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর অবস্থানের তথ্য পান। প্রতিবেশী এক যুবক ফোন করে তাকে বিষয়টি জানায়। এরপর তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান। ৯৯৯ থেকে তাকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। ওই থানার এএসআই শাহিন তার কাছে জানতে চান, এক ঘণ্টা পর পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের পাওয়া যাবে কি-না? জবাবে তিনি জানান, পাওয়া যাবে। এরপর পুলিশ এসে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বলে- কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে বেলায়েত হোসেনকেই থানায় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে সারারাত তাকে আটকে রাখা হয়। প্রস্রাব করতে চাইলে তাকে শৌচাগারেও যেতে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে সকালে তাকে আদালতে চালান দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। তবে নানামুখী তদবিরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে তিনি স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সবুজের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী ১৩ সন্ত্রাসীকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। অথচ এই সন্ত্রাসীদের খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশ তাকে হয়রানি করে। এ ঘটনায় তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বেগমগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার সমকালকে বলেন, যে বাড়িতে সন্ত্রাসীদের অবস্থানের কাল্পনিক তথ্য দিয়েছিলেন বেলায়েত, সেই বাড়ির মালিকের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ কারণে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে তিনি পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানোর ব্যবস্থা করেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার এমনটা করেছেন। অন্যান্যবারের মতো এবারও সেখানে কোনো সন্ত্রাসী পাওয়া যায়নি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে হয়রানি করায় তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো ঘটনা অবহিত আছেন।

আরও পড়ুন

×